শুরু করা যাক স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি এবং মিডিয়াটেক হেলিও জি৯০টি নিয়ে। আপনারা জানেন হয়তোবা মিডিয়াটেক হেলিও জি৯০টির শুরু হয়েছিল রেডমি নোট এইট প্রো এর মধ্যে যা চমৎকার একটি গেমিং কার্যক্ষমতা সম্পন্ন স্মার্টফোন হিসেবে পরিচিত। এখন জি২০টি এর পারে সরাসরি দেখা যাচ্ছে ৭২০জি ব্যবহার করা হয়েছে রেডমি নোট নাইন প্রো এবং রিয়েলমি সিক্স প্রো এর মধ্যে তাহলে দেখা যাক এই দুইটি প্রসেসর মোবাইলের মধ্যে কেমন পারফরম্যান্স করছে। গেমিং এর কথা বলতে গেলে (পাবজি) হেলিও জি৯০টি এর মধ্যে সহজে চালানো যায় এবং ফ্রেম-রেট ৬০ এফপিএস যা মধ্য পরিসীম ফোনের জন্য অনেক কিছু অপরদিকে ৭২০জি সহজে চালাতে পারে না এবং এর মধ্যে ফ্রেম-রেট ৪০ এফপিএস তাহলে দেখা যায় গেমিং এর মধ্যে ৭২০জি পিছনে। তাছাড়া যদি ব্যাটারি ব্যাকআপ এর কথা চিন্তা করুন তাহলে ৭২০জি এগিয়ে কারণ লম্বা সময় খেলার পরও মোবাইল ফোন গরম হবে না এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো দিবে। তাহলে বলা যায় জি৯০টি এবং ৭২০জি একটি ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো অন্যটি গেমিং পারফরমেন্স এর দিকে ভাল। তাছাড়া কিছু কিছু কাজে ৭২০জি এগিয়ে এবং কিছু কিছু বিষয়ে জি৯০টি এগিয়ে। জি৯০টি পুরোনো তাই কমদামি মোবাইল ফোন এর মধ্যে এর ব্যবহার করা হয়।
এখন স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি এবং স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি এর মধ্যে তুলনা করা যাক যদিও এই প্রসেসর দুটি চমৎকার পারফরম্যান্স করে তারপরেও ৭৩০জি এর মধ্যে ২৫% গ্রাফিক্স লোডিং দেখা যায় এর জন্য ৭৩০জি এর মধ্যে গ্রাফিক্স ৭২০জি এর থেকে ভাল কিন্তু এর মধ্যে পাবজি ভালভাবে খেলা যায় না। স্নাপড্রাগণ ৭৩০জি এর মধ্যে ফ্রেম-রেট ৪০ এফপিএস দেওয়া হয়েছে যা সত্যি হতাশাজনক এবং ৭২০জি প্রায় একই রকম তবে এখানে জি৯০টি এগিয়ে। এখানে ৭৩০জি এর মধ্যে হালকা সিপিইউ পারফরম্যান্স ভালো দেখা যায় এবং গেমিং পারফরমেন্স হালকা ভাল দেখা যায়। তাহলে দেখা যায় স্নাপড্রাগণ ৭২০জি এবং ৭৩০জি প্রায় একই রকম। তবে একজায়গায় ৭২০জি এগিয়ে যায় কারন এর মধ্যে ভাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট পারফরম্যান্স দেখা যায়।
তাহলে দেখা যায় এই তিনটি প্রসেসর এর মধ্যে জি৯০টি গেমিং এর দিক থেকেও অনেক এগিয়ে তাছাড়া জি৯০টি এর মধ্যে গুগল ক্যামেরা ভালোভাবে কাজ করে না তবে ৭২০জি এবং ৭৩০জি এর মধ্যে ভালভাবে কাজ করতে দেখাযায়। তবে এই তিনটি প্রসেসর চমৎকার পারফরম্যান্স করে থাকে। তাই আপনি আপনার দরকার অনুযায়ী যেকোনো একটি প্রসেসর সিলেক্ট করতে পারেন চোখ বন্ধ করে।